জিপিএ-৪.০০, অথচ ঢাবি শিক্ষার্থী পেলেন ৪.০৩

জিপিএ-৪.০০, অথচ ঢাবি শিক্ষার্থী পেলেন ৪.০৩

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একাডেমিক ফলাফলে সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (জিপিএ) ৪.০০। অথচ এই মাত্রা ছাড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের এক শিক্ষার্থী জিপিএ-৪.০৩ পেয়েছেন।

এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। পরে সব শিক্ষার্থীর (প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা) ফল স্থগিত করে এক সপ্তাহ পর ‘সংশোধিত ফল’ প্রকাশ করেছে পরীক্ষা কমিটি। সংশোধিত ফলে ওই বর্ষের ৬৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনের ফলে পরিবর্তন এসেছে। তবে সবারই জিপিএ কমেছে। আর যে শিক্ষার্থী জিপিএ-৪.০৩ যে পেয়েছিল, সংশোধিত ফলে তার এসেছে জিপিএ-৩.৮৮।

জানা গেছে, ফল প্রকাশের পর ওই শিক্ষার্থীর সিজিপিএ-৪.০৩ আসলে তা নিয়ে শুরু হয় বির্তক। এতে বাকি শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে, সেই ফল স্থগিত করে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) আবার সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত হয়। তবে যেখানে ১২ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর সিজিপিএ কমে যায় ০.০৫ করে অর্থাৎ যার আগে ছিল সিজিপিএ-৩.৮২ এখন সিজিপিএ-৩.৭৭। আরেকজনের সিজিপিএ ৩.৯৯ এসেছিল পরে সংশোধিত ফলে সিজিপিএ-৩.৯৪ এসেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, সমস্যাটি মূলত PHR-101 কোর্সে। এই কোর্সে ৬-৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৪.০০ এ মধ্যে ৪.০০ পেয়েছিল। পরীক্ষা কমিটির ভাষ্য, এটা সংশোধন করতে গিয়ে তাদের ট্যাবুলেশন শিট পুনরায় চেক করে মোট ১২ জনের জিপিয়ে কমেছে ০.০৫ থেকে ০.০১০ পর্যন্ত। তাছাড়া PHR-105/106/107 কোর্সে অনেকের A+ ও A থেকে কমে A- ও B+ হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নম্বরপত্র ও ট্যাবুলেশন শিটের নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

শিক্ষার্থীদের মতে, ফলাফল চেক করলে যদি নির্ভুল রেজাল্ট পাওয়া যায় তবে এটা কেবল কমে কেন, বাড়ে না কেন? রেজাল্টের নির্ভুলতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমরা সব সময় হার্ডকপিতে ফলাফল প্রকাশ করি। কিন্তু এবার কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করি। সেখানে এক্সেল শিটে ক্যালকুলেশন করার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে ভুল হয়েছে।

পরবর্তীতে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার সাথে সাথে আমরা ফল ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা করি এবং শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ফল প্রকাশ হয়। যা নির্ভুল বলে দাবি করেন তিনি।

তারপরও শিক্ষার্থীদের কোন অভিযোগ থাকলে তা জানানো হলে গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।

আপনি আরও পড়তে পারেন